কাঠবাদাম একটি পুষ্টিকর খাবার এবং কাঠবাদাম শরীরের জন্য অনেক উপকারী প্রতিদিন কতটা কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত এই বিষয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রতিদিন কতটা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত তা নির্ভর করবে বয়স এবং শারীরিক গঠন এর উপর তবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ টি কাঠবাদাম খাওয়া উচিত এতে অতিরিক্ত সুগার ফ্যাট প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে যার দেহের প্রতিটি অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
কাঠবাদাম একটি উত্তম খাবার এটি মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং এটি অত্যন্ত মূল্যবান ও একটি খাবার।
কাঠ বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই ভিটামিন বি প্রোটিন ফ্যাট আয়রন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস ইত্যাদি অমূল্য উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
নিয়মিত কাঠ বাদাম খেলে হৃদরোগ মানসিক শান্তি এবং চোখের জন্য অত্যন্ত প্রক্রিয়ায় কারী এবং আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার শক্তিশালী করে।
তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ টি কাঠবাদাম খাওয়া উচিত তাহলে এই সমস্ত আয়রন ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।
প্রতিদিন কত পরিমাণে আমাদের কাঠবাদাম খাওয়া উচিতঃ
তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেছেন প্রতিদিন যদি ২৮ টার মত কাঠবাদাম খাওয়া যায় তাহলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ হয় এবং ৫০ % ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে দেয় কাঠবাদাম।
- প্রতিদিন সকালে ৪ থেকে ৫ টাকা কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে মানুষের মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ঘটে এবং শিশুদের বাড়ন্তের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী
- দুপুরে চার থেকে পাঁচটি কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে শরীরের কোল্ড রেস্টুরেল সঠিক রাখে এবং চর্বি কেটে যায়।
- প্রতিদিন ৯ টা থেকে ১০ টা কাঠবাদাম যদি খাওয়া যায় তাহলে শরীরের বৃদ্ধি ঘটে এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তি যোগায়।
কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক
কাঠবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং শক্তিশালী একটি খাবার এবং এই খাবারের উপকারের পাশাপাশি ক্ষতির দিকে রয়েছে যেমন জাতির শরীরের অতিরিক্ত এলার্জি রয়েছে তাদের জন্য কার্ড বাদাম খাওয়া উচিত হবে না।
কারণ এলার্জির কারণে অনেক সময় মুখে ঘা হয়ে যাবে এবং ঠোঁট এবং জিহ্বা থেকে রস বের হবে এবং যাদের অতিরিক্ত এলার্জি রয়েছে তাদের কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
প্রতিদিন কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম রয়েছে সেই বিভিন্ন প্রজাতির বাদামের মাঝে কাঠবাদাম অন্যতম। উপকারের দিক থেকে এবং পুষ্টি গুণের দিক থেকে কাঠবাদাম একটি জনপ্রিয় নাম।
আমাদের প্রতিদিন খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার পাশাপাশি সুষম খাবারের প্রয়োজন হয় এবং খাবারের তালিকায় যদি কাঠবাদাম রাখা যায় তাহলে সুষম খাবারের এবং পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়।
স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হিসেবে কাঠ বাদামের জরি নাই। কাঠবাদাম ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে হয়ে থাকে এবং এটি বিশেষ এক শ্রেণীর উদ্ভিদ হতে তৈরি প্রাপ্ত বাদাম এবং কাঠবাদাম পৃথিবীর প্রাচীনতম পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে একটি।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতপথে আমরা যে কাঠবাদাম খেয়ে থাকি তার আসল নাম হচ্ছে ড্রপ এবং এটি হালকা শক্ত এবং কাঠের নেয় বাদামী আবরণের মাংসের বিরহ একটি বাদাম।
কাঠ বাদামের উপকারিতা
কাঠবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উপকারী একটি খাবার তাই নিচে কাঠ বাঁধানো এর পুষ্টি গুনাগুন এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
পুষ্টি গুণাবলীর আকর হিসেবে ভূমিকা পালন
কাঠবাদাম দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদানের যে সমস্ত উপাদান দরকার তার সবই আছে। কাঠবাদামে রয়েছে ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট চর্বি ফাইবার ,প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ,ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ,জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ,সেলেনিয়াম, ফলেট ভিটামিন ই এবং কোলেস্টেরল এই সমস্ত উপাদান রয়েছে।
এছাড়াও কাঠবাদামে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ১২ রয়েছে যা প্রায় ১৬১ ক্যালোরি খাদ্য শক্তি সরবরাহ করে থাকে।
এন্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ বাদাম
কাঠবাদামে আপনি দেখবেন প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের দেহ কোষ কে এন্টিডেক্স টি ট্রেস থেকে রক্ষা করে থাকে এবং আমাদের দেহে ঘটতে থাকা বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া এবং প্রাকৃতিক পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর ফাইটেক এসিড যা আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থকে আবদ্ধ করে এবং তাদের শোষণে বাধা দেয়।
উল্লেখ্য যে আমাদের শরীরে প্রতিদিন কমপক্ষে 84 গ্রাম কাঠ বাদাম খাওয়া প্রয়োজন।
কাঠ বাদামে ভিটামিন ই এর উৎস রয়েছে
কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে একাউন্ট বা ২৮ গ্রাম কাঠবাদাম এ প্রায় 7 মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে। যা একজন সুস্থ ব্যক্তির দৈনন্দিন যে সমস্ত পুষ্টির দরকার তার অর্ধেক এই কাঠ বাদামে রয়েছে।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
দাম কার্বোহাইড্রেটর স্বল্পতা এবং চর্বি ফাইবারযুক্ত খনিজ পদার্থ থাকায় আমাদের শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে এবং খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখে যার ফলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।
এবং কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস ২৫ থেকে ৩৮ শতাংশ কমে যায়।
রক্তে কোলেস্টরেল এর মাত্রা কমিয়ে দেয়
কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং আমাদের শরীরে অতিরিক্ত যে চর্বি জমে থাকে সেই চর্বি কাটিয়ে যেতে সাহায্য করে। তাই কাঠবাদাম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়
কার্ড বাদাম আমাদের শরীরের হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
নিয়মিত কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ উপকার রয়েছে। কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণ কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণে ডিডক্সিফাই থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
এছাড়াও কাঠবাদাম আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
চোখের যত্ন এবং সুস্বাস্থ্য নিতে সাহায্য করে
রক্তশূন্যতা দূর করে
মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আমাদের স্মৃতিশক্তি প্রখর করে ত্বক মসৃণ
সুন্দর রাখে চুল স্বাস্থ্যের জল রাখে
এবং সবশেষে কাঠবাদামের উপকারিতার শেষ নেই।