ই-ট্রেড লাইসেন্স রিনিউভাল প্রক্রিয়া বাংলাদেশ | সহজ গাইড

সোশাল মিডিয়ায় শোয়ার করুন!

5/5 - (1 vote)

বাংলাদেশে ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা করতে হলে একটি বৈধ ই-ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। তবে শুধু লাইসেন্স গ্রহণ করলেই হবে না, এটি নির্ধারিত সময়ে রিনিউ (নবায়ন) করাও জরুরি। আজকের এই গাইডে আমরা জানব কীভাবে সহজে এবং অনলাইনে ই-ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করবেন, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, ফি, সময়সীমা এবং সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর।

 

🔍 ই-ট্রেড লাইসেন্স কী?

ই-ট্রেড লাইসেন্স হলো একটি অনলাইন ব্যবসার বৈধতা প্রদানকারী অনুমতিপত্র, যা অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা যেমন—ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস, অনলাইন দোকান ইত্যাদির জন্য প্রয়োজন হয়। এটি ডিজিটাল ট্রেড লাইসেন্স হিসেবেও পরিচিত।

 

🗓️ ই-ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করতেই হবে কেন?

ই-ট্রেড লাইসেন্স সাধারণত এক বছরের জন্য বৈধ হয়। সময়মতো রিনিউ না করলে:

 

  • আইনগত জটিলতায় পড়তে পারেন
  • ব্যবসার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে
  • ব্যাংক বা পেমেন্ট গেটওয়ে বন্ধ করে দিতে পারে
  • মার্কেটপ্লেস (Daraz, Amazon, fb keep) থেকে অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ হতে পারে

 

📌 ই-ট্রেড লাইসেন্স রিনিউভাল প্রক্রিয়া বাংলাদেশ

নিচে ধাপে ধাপে ই-ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো:

 

ধাপ ১: সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে লগইন করুন

  • ঢুকুন: https://license.Dncc.Gov.Bd/ (যদি আপনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে হন)
  • আপনার ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন

 

ধাপ ২: রিনিউ অনুরোধ সাবমিট করুন

  • “Renew License” অথবা “License services” অপশন ক্লিক করুন
  • আপনার লাইসেন্স নম্বর দিয়ে খুঁজে বের করুন
  • রিনিউয়ের জন্য আবেদন করুন

 

ধাপ ৩: ফি প্রদান

  • নির্ধারিত ফি মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ/নগদ), অনলাইন ব্যাংকিং বা কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করুন
  • পেমেন্ট সফল হলে আপনি একটি চালান রিসিপ্ট পাবেন

 

ধাপ ৪: লাইসেন্স ডাউনলোড করুন

  • ফি জমার পর কয়েক কার্যদিবসের মধ্যে আপনার রিনিউড লাইসেন্স ইমেইলে চলে আসবে বা ড্যাশবোর্ড থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন

 

📄 প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

রিনিউ করার সময় নিচের কাগজপত্র লাগতে পারে:

 

  • আগের বছরের ট্রেড লাইসেন্স কপি

 

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)

 

  • কর রিটার্নের কপি (যদি থাকে)

 

  • পেমেন্ট রিসিপ্ট

 

💰 রিনিউ ফি কত?

ই-ট্রেড লাইসেন্স ফি সাধারণত নির্ভর করে আপনার ব্যবসার ধরণ ও অবস্থানের ওপর। তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে এটি সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। আপনার স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

 

⏰ কবে রিনিউ করবেন?

সাধারণত ট্রেড লাইসেন্স জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকে। নতুন বছরের শুরুতেই (জানুয়ারির মধ্যে) রিনিউ করতে হবে।

 

❓প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

 

প্রশ্ন: ই-ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করতে কত সময় লাগে?

উত্তর: অনলাইন পেমেন্টের পর সাধারণত ৩–৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিনিউ হয়ে যায়।

 

প্রশ্ন: রিনিউ না করলে কী হবে?

উত্তর: লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে এবং আপনি অনলাইনে ব্যবসা চালাতে পারবেন না।

 

প্রশ্ন: মোবাইল দিয়েও কি রিনিউ করা যাবে?

উত্তর: হ্যাঁ, স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইনেই রিনিউ করতে পারবেন।

 

প্রশ্ন: কোথা থেকে সাহায্য পাব?

উত্তর: আপনি সিটি কর্পোরেশনের হেল্পলাইন বা অনলাইন চ্যাট সাপোর্ট থেকে সহায়তা নিতে পারেন।

 

✅ উপকারিতা সংক্ষেপে

সুবিধা বিবরণ
অনলাইনে রিনিউ ঘরে বসেই সম্পন্ন করা যায়
সময় বাঁচায় অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয় না
সহজ পেমেন্ট বিকাশ, নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়
ব্যবসার বৈধতা বজায় থাকে কর আইন অনুযায়ী নিরাপদে ব্যবসা করতে পারবেন

 

🔚 শেষ কথা

ই-ট্রেড লাইসেন্স রিনিউভাল প্রক্রিয়া বাংলাদেশ এখন আর ঝামেলার কিছু না। শুধু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে কিছু ধাপে কাজ করলেই হয়ে যাবে আপনার রিনিউ। আইনগতভাবে নিরাপদ থাকতে এবং আপনার অনলাইন ব্যবসাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালাতে অবশ্যই লাইসেন্স নবায়ন করুন সময়মতো।

 

আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে আজই রিনিউ করে নিন আপনার ই-ট্রেড লাইসেন্স!


সোশাল মিডিয়ায় শোয়ার করুন!

Leave a Comment