যোনিতে চুলকানি একটি অস্বস্তিকর এবং বিব্রতকর সমস্যা, যা অনেক নারীই তাদের জীবনে কমবেশি অনুভব করেন। এই সমস্যা শারীরিক অস্বস্তির পাশাপাশি মানসিক চাপও সৃষ্টি করে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, কারণ বাজারে যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম সহজেই পাওয়া যায়, যা এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
আপনি যদি জানতে চান যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম কি, বা যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম বাংলাদেশ কোথায় পাওয়া যায়, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এখানে আমরা শুধু ক্রিমের নামই জানাব না, বরং যোনির গন্ধ দূর করার ক্রিম, যোনি সংক্রমণের জন্য ক্যান্ডিড ক্রিম, এবং যোনিতে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করব।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন? চলুন জেনে নিই যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম এবং এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে সবকিছু।
গোপনাঙ্গে চুলকানির কারণ কী কী?
- ইস্ট ইনফেকশন (ক্যান্ডিডিয়াসিস): ফাঙ্গাসের কারণে সাদা স্রাব এবং তীব্র চুলকানি।
- ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস (BV): ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হলে মাছের মতো গন্ধ এবং চুলকানি হয়।
- ট্রাইকোমোনিয়াসিস: যৌন সংক্রমণের কারণে হলুদ বা সবুজ স্রাব এবং চুলকানি।
- অ্যালার্জি বা জ্বালাপোড়া: সুগন্ধিযুক্ত সাবান, স্যানিটারি প্যাড, বা কন্ডম ব্যবহারের কারণে।
- হরমোনাল পরিবর্তন: গর্ভাবস্থা, মেনোপজ, বা মাসিক চক্রের সময় যোনির শুষ্কতা এবং চুলকানি।
- ত্বকের সমস্যা: একজিমা বা সোরিয়াসিসের কারণে যোনির চারপাশে চুলকানি।
- যৌন সংক্রমণ (STIs): গনোরিয়া, হার্পিস, বা ক্ল্যামাইডিয়ার মতো সংক্রমণ।
- ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির অভাব: যোনি এলাকা পরিষ্কার এবং শুষ্ক না রাখলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সহবাসের পর যোনি চুলকানির কারণ ও প্রতিরোধের উপায়
- ইস্ট ইনফেকশন (ক্যান্ডিডিয়াসিস)
- সহবাসের সময় যোনির pH ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যা ইস্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়।
- লক্ষণ: সাদা, পনিরের মতো স্রাব, তীব্র চুলকানি, এবং জ্বালাপোড়া।
- ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস (BV)
- সহবাসের সময় ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- লক্ষণ: ধূসর বা সাদা স্রাব, মাছের মতো গন্ধ, এবং চুলকানি।
- ট্রাইকোমোনিয়াসিস
- এটি একটি যৌনবাহিত সংক্রমণ (STI), যা সহবাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
- লক্ষণ: হলুদ বা সবুজ স্রাব, চুলকানি, এবং প্রস্রাব করার সময় ব্যথা।
- অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন
- কন্ডম, লুব্রিকেন্ট, বা স্পার্মিসাইডে থাকা রাসায়নিক পদার্থের প্রতি অ্যালার্জির কারণে চুলকানি হতে পারে।
- লক্ষণ: যোনিতে লালচেভাব, ফোলাভাব, এবং জ্বালাপোড়া।
- যোনির শুষ্কতা
- সহবাসের সময় পর্যাপ্ত লুব্রিকেশন না থাকলে যোনির শুষ্কতা এবং চুলকানি হতে পারে।
- লক্ষণ: ব্যথা, জ্বালাপোড়া, এবং অস্বস্তি।
- যৌনাঙ্গের হার্পিস
- হার্পিস সিম্পলেক্স ভাইরাসের কারণে যৌনাঙ্গে ফোসকা এবং চুলকানি হতে পারে।
- লক্ষণ: ছোট ফোসকা, চুলকানি, এবং জ্বালাপোড়া।
- যোনির pH ভারসাম্য নষ্ট হওয়া
- সহবাসের সময় স্পার্ম যোনির pH ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, যা চুলকানির কারণ হতে পারে।
- ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির অভাব
- সহবাসের আগে বা পরে যোনি এলাকা পরিষ্কার না রাখলে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি ঘটতে পারে।
সহবাসের পর যোনি চুলকানি প্রতিরোধের উপায়
- সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক বজায় রাখুন: কন্ডম ব্যবহার করে যৌনবাহিত সংক্রমণ (STIs) প্রতিরোধ করুন।
- হাইপোঅ্যালার্জেনিক পণ্য ব্যবহার করুন: কন্ডম, লুব্রিকেন্ট, বা স্পার্মিসাইড নির্বাচনের সময় হাইপোঅ্যালার্জেনিক পণ্য বেছে নিন।
- যোনির pH ভারসাম্য বজায় রাখুন: বিশেষ ভ্যাজাইনাল ওয়াশ বা জেল ব্যবহার করুন।
- পর্যাপ্ত লুব্রিকেশন নিশ্চিত করুন: সহবাসের সময় প্রাকৃতিক বা ওভার-দ্য-কাউন্টার লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন।
- ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: সহবাসের আগে এবং পরে যোনি এলাকা পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখুন।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
- যদি চুলকানি তীব্র হয় বা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়।
- যদি অস্বাভাবিক স্রাব, ব্যথা, বা জ্বালাপোড়া দেখা দেয়।
- যদি যৌনাঙ্গে ফোসকা বা ঘা দেখা দেয়।
যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম কি?
যোনিতে চুলকানি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ক্রিমের নাম হলো:
ক্যান্ডিড ক্রিম: এটি যোনি সংক্রমণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়।
ক্লোট্রিমাজল ক্রিম: এই ক্রিম ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
মাইকোনাজল ক্রিম: এটি যোনির চুলকানি এবং গন্ধ দূর করার জন্য কার্যকরী।
টেরবিনাফিন ক্রিম: এটি ইস্ট ইনফেকশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই ক্রিমগুলো যোনিতে চুলকানি দূর করার পাশাপাশি সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম বাংলাদেশ (ক্লোট্রিমাজল গোত্রীয়)
যোনিতে চুলকানি দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ক্রিমের নাম হলো:

- Afun 1% ক্রিম
- Clotrim 20gm 1% ক্রিম
- Fungin 1% ক্রিম
এই ক্রিমগুলো মূলত ক্লোট্রিমাজল জাতীয় ওষুধ, যা ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এগুলো যোনিতে চুলকানি, গন্ধ, এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী।
ক্রিমগুলোর ব্যবহার পদ্ধতি
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ডোজ
- ত্বক এবং নখের ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্য: দিনে ২-৩ বার আক্রান্ত স্থানে ক্রিমটি লাগান।
- টিনিয়া পেডিস (পায়ের ফাঙ্গাল ইনফেকশন) এবং ডার্মাটোমাইকোসিসের জন্য: ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করুন।
- নখের ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্য: ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।
শিশুদের জন্য ডোজ
- টিনিয়া কর্পোরিস (দেহের ফাঙ্গাল ইনফেকশন) এবং টিনিয়া পেডিসের জন্য: দিনে ২ বার আক্রান্ত স্থানে লাগান, ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত।
- টিনিয়া ক্রুরিস (কুঁচকির ফাঙ্গাল ইনফেকশন): ২ বছর শিশুদের জন্য দিনে ২ বার লাগান, ২ সপ্তাহ পর্যন্ত।
- ক্যান্ডিডিয়াসিস (ইস্ট ইনফেকশন): দিনে ২ বার আক্রান্ত স্থানে এবং আশেপাশের এলাকায় ক্রিমটি ম্যাসাজ করুন। ৪ সপ্তাহ পরেও উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ক্রিম ব্যবহারের সতর্কতা
- চোখের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন: ক্রিমটি চোখে লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
- গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানকাল: গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন।
- ৩ বছরের কম বয়সী শিশু: এই বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।
- অসহিষ্ণুতা দেখা দিলে: যদি ত্বকে জ্বালাপোড়া, লালচেভাব, বা ফোলাভাব দেখা দেয়, তাহলে ব্যবহার বন্ধ করে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ক্রিমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- ত্বকে লালচেভাব, জ্বালাপোড়া, বা চুলকানি হতে পারে।
- কিছু ক্ষেত্রে ত্বক ফেটে যাওয়া, ফোলাভাব, বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- খুব কম ক্ষেত্রে সিরাম AST (লিভার এনজাইম) এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
দাম
- Afun 1% ক্রিম: প্রতি টিউবের দাম প্রায় ৫০-৭০ টাকা।
- Clotrim 20gm 1% ক্রিম: প্রতি টিউবের দাম প্রায় ৬০-৮০ টাকা।
- Fungin 1% ক্রিম: প্রতি টিউবের দাম প্রায় ৭০-৯০ টাকা।
ক্রিমের মোড অফ অ্যাকশন
এই ক্রিমগুলোর সক্রিয় উপাদান ক্লোট্রিমাজল, যা ফাঙ্গাল কোষের প্রাচীরের ফসফোলিপিডের সাথে যুক্ত হয়ে কোষের প্রাচীরের পারমিয়াবিলিটি পরিবর্তন করে। এর ফলে ফাঙ্গাসের প্রয়োজনীয় উপাদান বেরিয়ে যায় এবং ফাঙ্গাস মারা যায়।
ক্রিম ব্যবহারের আগে মনে রাখুন
- ক্রিম ব্যবহারের আগে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার এবং শুষ্ক করে নিন।
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
- যদি সমস্যা গুরুতর হয় বা উন্নতি না দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
যোনিতে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
মেয়েদের যোনিতে চুলকানি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় খুবই কার্যকরী হতে পারে, বিশেষ করে যদি সমস্যা হালকা হয়। তবে যদি চুলকানি তীব্র হয় বা ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হয়, তাহলে যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম জানা এবং সেগুলো ব্যবহার করা জরুরি। নিচে কিছু ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো:
- দই ব্যবহার করুন
- দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক যোনির ভাল ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করে।
- কীভাবে ব্যবহার করবেন:
- প্রতিদিন এক কাপ টকদই খান।
- সরাসরি যোনির চারপাশে দই লাগান এবং ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
- নারকেল তেল
- নারকেল তেলে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
- কীভাবে ব্যবহার করবেন:
- যোনির চারপাশে নারকেল তেল লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে দিন।
- দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
- এলোভেরা জেল
- এলোভেরা জেল ঠান্ডা এবং শান্ত করার গুণ রয়েছে, যা যোনির জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি কমায়।
- কীভাবে ব্যবহার করবেন:
- তাজা এলোভেরা জেল যোনির চারপাশে লাগান এবং ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
- দিনে ২ বার ব্যবহার করুন।
- বেকিং সোডা
- বেকিং সোডা যোনির pH ভারসাম্য বজায় রাখে এবং চুলকানি কমায়।
- কীভাবে ব্যবহার করবেন:
- এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে যোনি ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
- টি ট্রি অয়েল
- টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা যোনির সংক্রমণ দূর করে।
- কীভাবে ব্যবহার করবেন:
- ১ চা চামচ নারকেল তেলের সাথে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে যোনির চারপাশে লাগান।
- দিনে ১ বার ব্যবহার করুন।
যোনিতে চুলকানি দূর করার অন্যান্য উপায়
যদি ঘরোয়া উপায়ে চুলকানি না কমে, তাহলে যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম জানা এবং সেগুলো ব্যবহার করা জরুরি। নিচে কিছু অন্যান্য উপায় দেওয়া হলো:
- অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম বা ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) ওষুধ
- যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম যেমন ক্লোট্রিমাজল, মাইকোনাজল, বা টেরবিনাফিন ক্রিম ব্যবহার করুন।
- ব্যবহার পদ্ধতি: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বা প্যাকেটের নির্দেশিকা মেনে ক্রিমটি যোনির চারপাশে লাগান।
- প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট
- প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট যোনির ভাল ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
- কীভাবে ব্যবহার করবেন: দিনে ১-২টি প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল সেবন করুন।
- যোনির pH ভারসাম্য বজায় রাখা
- যোনির pH ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিশেষ ভ্যাজাইনাল ওয়াশ বা জেল ব্যবহার করুন।
- কীভাবে ব্যবহার করবেন: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওয়াশ বা জেল ব্যবহার করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
- যদি চুলকানি তীব্র হয়, দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়, বা অন্যান্য লক্ষণ যেমন অস্বাভাবিক স্রাব, ব্যথা, বা জ্বালাপোড়া দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
FAQS: যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম সচারচর প্রশ্নত্তোর
সহবাসের পর যোনি চুলকানির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ইস্ট ইনফেকশন (ক্যান্ডিডিয়াসিস)
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস (BV)
যৌনবাহিত সংক্রমণ (STIs) যেমন ট্রাইকোমোনিয়াসিস বা হার্পিস
অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন (কন্ডম, লুব্রিকেন্ট, বা স্পার্মিসাইডের কারণে)
যোনির শুষ্কতা বা pH ভারসাম্য নষ্ট হওয়া
সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক বজায় রাখুন (কন্ডম ব্যবহার করুন)।
হাইপোঅ্যালার্জেনিক কন্ডম বা লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন।
সহবাসের আগে এবং পরে যোনি এলাকা পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখুন।
যোনির pH ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিশেষ ভ্যাজাইনাল ওয়াশ বা জেল ব্যবহার করুন।
ইস্ট ইনফেকশনের জন্য: ক্লোট্রিমাজল বা মাইকোনাজল ক্রিম।
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্য: মেট্রোনিডাজল জেল।
অ্যালার্জি বা জ্বালাপোড়ার জন্য: হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)।
দই: প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই যোনির ভাল ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে।
নারকেল তেল: অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে, যা চুলকানি কমায়।
এলোভেরা জেল: জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
বেকিং সোডা: যোনির pH ভারসাম্য বজায় রাখে।
না, কন্ডম ব্যবহার বন্ধ করা উচিত নয়। বরং হাইপোঅ্যালার্জেনিক বা ল্যাটেক্স-মুক্ত কন্ডম ব্যবহার করুন। যদি কন্ডমে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
উপসংহার
যোনিতে চুলকানি একটি অস্বস্তিকর সমস্যা, যা অনেক নারীই তাদের জীবনে কমবেশি অনুভব করেন। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, কারণ বাজারে যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম সহজেই পাওয়া যায়, যা এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ক্লোট্রিমাজল, মাইকোনাজল, এবং টেরবিনাফিন ক্রিমের মতো ওষুধ যোনির চুলকানি, গন্ধ, এবং সংক্রমণ দূর করতে কার্যকরী।
এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি যোনির স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক বজায় রাখা, এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যোনির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। যদি সমস্যা গুরুতর হয় বা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
দ্রষ্টব্য: এই ব্লগ পোস্টে উল্লিখিত তথ্যগুলো শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। কোন ক্রিম বা চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিয়তিম এই ধরনের আপডেট পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট https://bangladisha.com/
আরও জানুন:
- ঠোটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম ক্লোভেট দাম ও ব্যবহার পদ্ধতি জানুন
- মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ক্রিম ও ঘরোয়া পদ্ধতি!
- গোপনাঙ্গ ফর্সা করার ক্রিম খুঁজছেন? জানুন উৎস ও নিরাপদ ব্যবহার পদ্ধতি!
- ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি: কারণ ও মুক্তির উপায় জানুন!