মাসিক ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড একজন নারীর স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাধারণত পিরিয়ড ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কিন্তু যদি পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি চলতে থাকে, তাহলে এটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয়, এর সম্ভাব্য কারণ, চিকিৎসা ও ঘরোয়া সমাধান সম্পর্কে।
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হওয়ার কারণ
১. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
প্রোজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোনের অসামঞ্জস্যতা দীর্ঘ সময় ধরে রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে।
২. পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)
PCOS থাকলে অনিয়মিত ও দীর্ঘস্থায়ী পিরিয়ড হতে পারে।
৩. থাইরয়েড সমস্যা
হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজম পিরিয়ডের সময়কাল বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪. জরায়ুর ফাইব্রয়েড বা পলিপ
জরায়ুতে টিউমার বা পলিপ থাকলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে।
৫. জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
কিছু বার্থ কন্ট্রোল পিল বা IUD পিরিয়ডের সময় বাড়িয়ে দেয়।
৬. গর্ভাবস্থা জড়িত সমস্যা
এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বা গর্ভপাতের কারণে দীর্ঘ সময় রক্তপাত হতে পারে।
৭. রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা
রক্ততঞ্চন রোগ (যেমন ভন উইলেব্র্যান্ড ডিজিজ) থাকলে পিরিয়ড বেশি দিন চলতে পারে।
৮. সংক্রমণ বা STDs
যৌনবাহিত রোগ বা জরায়ুর ইনফেকশনও দীর্ঘস্থায়ী পিরিয়ডের কারণ হতে পারে।
৯. লিভার বা কিডনি রোগ
- ক্রনিক ডিজিজ হরমোন মেটাবলিজমে ব্যাঘাত ঘটায়।
- সমাধান: LFT/KFT টেস্ট করুন।
১০. অতিরিক্ত স্ট্রেস ও ওজন সমস্যা
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা ওবেসিটি হরমোনে প্রভাব ফেলে।
- সমাধান: যোগব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কাউন্সেলিং।
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয়: 11টি জরুরি পদক্ষেপ

1. নিজের শরীরকে পর্যবেক্ষণ করুন
আপনার পিরিয়ড যদি ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে প্রথমে নিজের শরীরের অন্যান্য লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করুন। যেমন:
- অতিরিক্ত রক্তপাত
- পেটের নিচের অংশে ব্যথা
- ক্লান্তি বা দুর্বলতা
- চক্কর বা মাথা ঘোরা
এই লক্ষণগুলি থাকলে, এটি একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
2. অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
✔ গাইনোকোলজিস্টের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন
✔ আল্ট্রাসাউন্ড এবং হরমোন টেস্ট করান
✔ রক্তশূন্যতা পরীক্ষা (CBC) করুন
3. রক্তপাতের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করুন
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে রক্তপাতের ধরন মনিটর করা জরুরি।
✔ প্রতি ঘণ্টায় প্যাড বদলাতে হলে জরুরি বিভাগে যান
✔ রক্তের সাথে বড় ক্লট (জমাট) থাকলে ডাক্তারকে জানান
4. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে আয়রনযুক্ত খাবার অপরিহার্য।
✔ পালং শাক, লাল মাংস, ডাল, বিটরুট নিয়মিত খান
✔ ডাক্তারের পরামর্শে আয়রন সাপ্লিমেন্ট নিন
5. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে হাইড্রেশন গুরুত্বপূর্ণ।
✔ দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন
✔ ডাবের পানি বা লেবু পানি উপকারী
6. ভিটামিন সি গ্রহণ করুন
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে ভিটামিন সি জরুরি।
✔ আমলকী, লেবু, পেয়ারা, কিউই ফল খান
✔ ভিটামিন সি ক্যাপসুল নিতে পারেন
7. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করুন
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে এটি হরমোন ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।
✔ ১ চা চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দিনে ২ বার খান
8. যোগব্যায়াম ও হালকা ব্যায়াম করুন
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে হালকা ব্যায়াম উপকারী।
✔ বজ্রাসন, পদ্মাসন, শবাসন করুন
✔ হাঁটা বা সাঁতার কাটতে পারেন
9. ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে এগুলো বাদ দিন।
✔ কফি, চা, কোমল পানীয় কম খান
✔ অ্যালকোহল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করুন
10. তাপ প্রয়োগ করুন
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে তাপ সেক দিলে উপশম মিলবে।
✔ পেটে গরম পানির বোতল বা হিটিং প্যাড দিন
11. মানসিক চাপ কমাতে পদক্ষেপ নিন
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট জরুরি।
✔ মেডিটেশন বা প্রাণায়াম করুন
✔ পর্যাপ্ত ঘুমান (রাতে ৭-৮ ঘণ্টা)
❗ গুরুত্বপূর্ণ:
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হিসেবে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো মেনে চলার পাশাপাশি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাত গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
কখন জরুরি চিকিৎসা নেবেন?
✅ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ (প্রতি ঘণ্টায় প্যাড বদলাতে হয়)
✅ তীব্র ব্যথা বা জ্বর
✅ দুর্বলতা বা মাথা ঘোরা
✅ গর্ভাবস্থার লক্ষণ থাকলে
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে খেতে পারেন ১০টি উপকারি খাবার
১. আদা-মধুর চা
আদা প্রাকৃতিকভাবে রক্তপাত কমাতে সাহায্য করে এবং জরায়ুর সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে।
✔ তৈরির পদ্ধতি:
- ১ ইঞ্চি তাজা আদা কুচি করে ১ কাপ পানিতে ৫ মিনিট ফুটান
- ছেঁকে নিয়ে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করুন
✔ সতর্কতা: অতিরিক্ত আদা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে
২. দারুচিনি গুঁড়া
দারুচিনি জরায়ুর রক্তপাত কমাতে এবং ব্যথা উপশমে কার্যকর।
✔ ব্যবহার বিধি:
- ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন
- অথবা ১ গ্লাস গরম দুধের সাথে মিশিয়ে রাতে খান
✔ সুবিধা: রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে
৩. মেথি বীজ
মেথি হরমোনাল ব্যালেন্স রক্ষা করে এবং অতিরিক্ত রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করে।
✔ প্রয়োগ পদ্ধতি:
- ১ চা চামচ মেথি বীজ রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখুন
- সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করুন
✔ বিকল্প: মেথি গুঁড়া গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন
৪. করলা পাতা
করলা পাতা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে এবং রক্তপাত কমাতে সহায়ক।
✔ তৈরির উপায়:
- ১০-১২টি করলা পাতা বেটে রস তৈরি করুন
- ১ চা চামচ রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান
✔ সতর্কতা: গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলুন
৫. পুদিনা পাতার রস
পুদিনা পাতায় থাকা মেন্থল রক্তনালী সংকোচনে সাহায্য করে।
✔ ব্যবহার:
- ১০-১২টি পুদিনা পাতা বেটে রস করুন
- ১ চা চামচ রস দিনে ২ বার পান করুন
✔ বোনাস: ব্যথা এবং বমি ভাব কমায়
৬. তিল বীজ ও গুড়
তিল আয়রনের উৎকৃষ্ট উৎস এবং গুড় রক্ত পরিষ্কারে সাহায্য করে।
✔ মিশ্রণ:
- ১ চা চামচ কাঁচা তিল বীজ গুঁড়া করে নিন
- সমপরিমাণ গুড়ের সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার খান
✔ সুবিধা: রক্তশূন্যতা দূর করে
৭. হলুদ দুধ
হলুদে থাকা কারকুমিন প্রদাহ কমায় এবং রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করে।
✔ প্রস্তুত:
- ১ গ্লাস গরম দুধে ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশান
- দিনে ১ বার রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন
✔ বিশেষ: রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া উন্নত করে
৮. ধনে বীজ
ধনে বীজ হরমোনাল ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে।
✔ পদ্ধতি:
- ২ চা চামচ ধনে বীজ ১ গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন
- সকালে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি পান করুন
✔ গুরুত্ব: জরায়ুর স্বাস্থ্য উন্নত করে
৯. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জরায়ুর প্রদাহ কমায় এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
✔ ব্যবহার:
- তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে ২ চা চামচ জেল নিন
- ১ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খান
✔ সতর্কতা: গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলুন
১০. তেঁতুল পানীয়
তেঁতুলে থাকা টারটারিক অ্যাসিড রক্তপাত কমাতে সাহায্য করে।
✔ প্রস্তুতি:
- ৫০ গ্রাম তেঁতুল ১ গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন
- ছেঁকে নিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে দিনে ১ বার পান করুন
✔ সুবিধা: শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়
❗ গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
✔ যেকোনো ঘরোয়া প্রতিকার শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
✔ কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহার করবেন না
✔ ৩-৪ দিন ব্যবহারের পরেও উন্নতি না হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ দেখান
মনে রাখবেন:
এই ঘরোয়া সমাধানগুলো সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি চললে অবশ্যই মূল কারণ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
উপসংহার:
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি চলা কোনো সাধারণ সমস্যা নয়, বরং এটি শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কোনো গভীর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় বিষয়ে, যেখানে আপনি জেনেছেন:
✔ জরুরি পদক্ষেপ (ডাক্তার দেখানো, রক্তপরীক্ষা করা)
✔ ১০টি সম্ভাব্য কারণ (হরমোনাল ইমব্যালেন্স, PCOS, ফাইব্রয়েড ইত্যাদি)
✔ ১০টি কার্যকর ঘরোয়া সমাধান (আদা চা, দারুচিনি, মেথি বীজ, অ্যালোভেরা ইত্যাদি)
✔ প্রতিরোধের উপায় (স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত চেকআপ)
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
যদি আপনার পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে শুধু ঘরোয়া সমাধানের উপর নির্ভর না করে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
মনে রাখবেন, আপনার স্বাস্থ্য আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সচেতনতাই পারে যেকোনো বড় সমস্যা থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে।
💡 একটি প্রশ্ন দিয়ে শেষ করি:
আপনার পিরিয়ড কি কখনো ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয়েছে? কিভাবে সমাধান পেয়েছিলেন? কমেন্টে শেয়ার করুন—আপনার অভিজ্ঞতা অন্য নারীদের সাহায্য করতে পারে!
FAQS
পিরিয়ড যদি অনেক দিন ধরে চলে তবে এটি হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জরায়ুর ফাইব্রয়েড বা থাইরয়েডজনিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই কারণে ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া নির্ভরযোগ্য সমাধান সম্ভব নয়।
পিরিয়ড যদি ১৫ দিন বা তার বেশি চলে, তবে তা একেবারেই স্বাভাবিক নয়। এ অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা, CBC ও আল্ট্রাসাউন্ড জরুরি। যদি রক্তশূন্যতা বা অন্য কোনো গাইনোকলজিক্যাল সমস্যা থাকে, দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
পেলভিক আল্ট্রাসাউন্ড, থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট, হরমোন প্রোফাইল ব্লাড টেস্ট এবং ব্লাড ক্লটিং ডিসঅর্ডার যাচাইয়ের জন্য রক্ত জমাট বাঁধার পরীক্ষা জরুরি। পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় তালিকায় এই টেস্টগুলো মূল ভূমিকা রাখে।
রক্তক্ষয় রোধে আয়রন ও ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। পালং শাক, আমলকী, লেবু, তিল বীজ ও গুড় ইত্যাদি খাবার শরীরে রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে এবং দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে।
সাধারণত ৩-৭ দিন পর্যন্ত পিরিয়ড স্থায়ী হতে পারে। কিন্তু ১০ দিনের বেশি চললে সেটা বিপদজনক হতে পারে, বিশেষ করে যদি রক্তপাত ভারী হয় বা পিরিয়ডের সাথে ব্যথা, ক্লট বা অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দেয়।
অনেক সময় নতুন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল শুরু করলে প্রথমদিকে পিরিয়ড বেশি দিন চলতে পারে। কিন্তু যদি এটি বারবার হয়, তাহলে পিল পরিবর্তনের কথা ডাক্তারকে জানান। পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় হলো—নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।
বয়ঃসন্ধিকালে হরমোন পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি চলতে পারে। তবে যদি এটি নিয়মিত হয়, তাহলে পেডিয়াট্রিক গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। আয়রনের ঘাটতি হলে খাবারের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
Refferance:
What Causes Long Periods and When to Seek Help